শীতের খেজুরের গুড় ও তার যত কথা

পোস্ট শেয়ার করুন

শীত মানেই বাঙ্গালীর পিঠার উৎসব। আর শীতের পিঠার কথা উঠলেই বাঙ্গালীর দরকার খেজুরের গুড় ।স্বাদ এবং গন্ধে ভরপুর এই গুড় যতটা সকলের প্রিয় ঠিক ততোটাই গুনে ভরপুর ।

চলুন জেনে নেই খেজুর গুড়ের যত কথা

খেজুর গুড়ে প্রচুর পরিমানে আয়রন, ক্যলসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যারা রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য এই গুড়ের পুষ্টি গ্রহণ করতে বলা হয় । গবেষনা করে জানা গেছে হাঁড় ও বাত ব্যথা কমাতে খেজুর গুড় বেশ উপকারী ।চুল এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এই গুড়ে থাকা পুষ্টিগুণ ।

রস আহরণ ও গুড় তৈরি

আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য শীতের এই খেজুরের রস ও গুড় ।মরুর খ্যাতি যেমন খেজুর দিয়ে বাংলার খ্যাতি তেমন এই খেজুরের রস ও গুড় দিয়ে । বাংলাদেশের সকল জেলায় এই খেজুর গাছ আছে তবে তুলনা মুলক যশোর, রাজশাহী, নাটোর,পাবনা জেলায় বেশি উৎপাদন করা হয়ে থাকে খেজুর গুড় । সাধারনত ৪ বছরে গাছ থেকে গাছিরা খেজুরের রস সংরক্ষণ করতে পারেন।তারপর সেই রস জাল করার মাধ্যমে গুড় তইরির প্রক্রিয়া করেন।

খেজুরের গুড়ের ধরন

খেজুরের গুড় কয়েক রকমের হয় ।নালি গুড় বা ঝোলা গুড় , পাটা গুড়, ঢিমা গুড় । বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন গুর জনপ্রিয় কেউ সকালের নাস্তায় এই গুর মুড়ি দিয়ে খায় কেউ পিঠা পায়েসে খায় কার বা এমনি খেতেই পছন্দ ।

পুষ্টিতে ভরপুর খেজুরে গুড়

খেজুরে গুড়ে রয়েছে নানান ধরণের খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, মিনারেল।প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরের গুড়ে আছে ১.০৮ গ্রাম প্রোটিন, ০.১৮ গ্রাম ফাইবার, ০.৪৫ গ্রাম আঁশ ৮৫.৮৩ গ্রাম শর্করা ,৩.৯৩ গ্রাম রিডিউসিং সুগার ১.১৫ গ্রাম লিপিড এছাড়া থ্যায়মিন , ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, রাইবফ্লবিন,পাইরিডক্সিক, ফলিক এসিড প্রভিতি সামান্য মাত্রায় বিদ্যমান ।

খেজুর গুড়ের উপকারিতা

আয়ুর্বেদের মতে, উদবেগ,মাথা ব্যথা, সর্দি কাশি, ঠাণ্ডা জাতিও রগ, হজম, ক্লান্তি, রোধ করতে গুড়ের সর্বাধিক কার্যকারিতা রয়েছে ।

  • ওজন কমাতে

খেজুর গুড়ে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকায় পানির চাহিদা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে । ঠাণ্ডা কাশি দূর করতে গুড় আমাদের শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে ফলে গুড় শুষ্ক কাশি ও ঠাণ্ডা দূর করতে সাহায্য করে এবং মিউকিয়াস পরিষ্কার রাখে । এটা হাঁপানি ও শাঁস কষ্ট জনিত রোগীদের ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে ব্যবহার চলে।

  • হজম শক্তি বাড়াতে খেজুর গুড়

প্রতিদিন খাওয়ার পর যদি কেউ এক টুকরা গুড় খায় তাহলে তার হজম ভাল হবে কারন খেজুর গুড় হজম রস সক্রিয় করতে , এনজাইম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে ভুমিকা পালন করে।

  • আয়রনের চাহিহা পুরনে

আমাদের দেশের গ্রাম বাংলার মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘারতি রয়েছে। ফলে নানা অসুখ বিসুখে আক্রান্ত হয়ে থাকে । শুনে অবাক হবেন যে খেজুরে গুড়ে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে ।গ্রাম বাংলায় খেজুর রস ও গুড়ের সহজ লভ্যতা গ্রামের মেয়েদের আয়রনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।সেই সাথে আয়রনের অভাব জনিত রোগ , রক্ত সল্পতা ঠেকাতে শীতের খেজুর রস ও গুড়ের কার্যকারিতা অনেক।

  • লিভারের সুরক্ষায়

যে সকল খাবার লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে তার মধ্যে একটি খাবার হল খেজুরের রস ও গুড়। এই খাবারে রয়েছে চুর পরিমানে সোডিয়াম,পটাশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস যা পেশি কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । নিয়মিত খেজুরের গুড় খেলে শরিরের শক্তি ধরে রাখতে এবং উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ।

  • ত্বক সুস্থ রাখতে

উজ্জ্বল ত্বক কার না পছন্দ খেজুর গুড়ে থাকা অনেক ভিটামিন উপাদান যা আপনার ত্বক কে ভিতর থেকে করে উজ্জ্বল লাবন্য ময়ই একটা প্রাণবন্ত ত্বক। ব্রন এবং ফুসকুড়ি দূর করতে ও বয়সের ছাপ পরা কমাতে খেজুর গুড়ে থাকা ভিটামিন সমৃদ্ধ খুব কার্যকারী।

  • শ্বাস কষ্ট কমাতে

শীত কালের এই স্বাদ, গন্ধে মাতোয়ারা গুড় যেমন সবার প্রিয় তেমনি এর জাদুকরী গুনও সকলের জানা দরকার ।গুড় শর্করার মহা উৎস এটা শরীরে যেমন শক্তি বর্ধক তেমনি গরম রাখতেও জানে। আর এই শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ফলে শীতের প্রোকপে যে সকল ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, অ্যাজমা রুগীরা কষ্ট পেয়ে থাকে তাদের জন্য গুড়ের চা বা যে কন উপায়ে নিয়মিত গুড় খেলে কষ্ট কম পায়।

  • প্রেশার নিয়ন্ত্রণে

খেজুরের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম , পটাশিয়াম থাকে আর এই দুই উপাদান উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে টাই প্রেশার নিয়ন্ত্রণ থাকে ।

  • হরমোন সমতা বজায় রাখতে

প্রিমেনস্ট্রুইয়াল সিনড্রোম বা পিএমএস সমস্যায় কম বেশি সকল মহিলা ভুগে থাকেন ।প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও নিয়ম করে আক্তু খেজুরের গুড় খেলে হরমোন সমতা বজায় থাকে । এছাড়া শরীরে হ্যাপি হরমোন
তৈরি করতে এই গুড় বেশ কার্যকারী ।

  • গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে

আমাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেট জাতিও খাবার অর্থাৎ চিনি এনার্জি প্রদান করেত ঠিকি কিন্তু এই এনার্জি শরীরে রক্তের সাথে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে কিডনি, চোখ বিকলাঙ্গ করে। কিন্তু গুড় খেলে এই সমস্যাটি কম হয়। কারন গুড় রক্তের সাথে মিশতে কিছুটা সময় নেয় যার কারনে রক্তে সুগারের মাত্রা হটাত বাড়া কমা হয় না ।ফলে শরীরের আন্নান্য অঙ্গ গুলো সহজে খারাপ হয় না ।

সাবধানতা

প্রতিটা জিনিসেরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিক রয়েছে । খেজুরের গুড় সকলের কাছে খুব প্রিয় একটি খাবার হতেই পারে।কার কার জন্য এই শীত কালীন খাবার অনেক দুঃখের। এটি ডায়বেতিস রোগীর জন্য ক্ষতি কর। তবে অল্প মাত্রা সহনীয়। এছারা যাদের ওজন জনিত বিভিন্ন রোগ আছে তারা আক্তু কম গ্রহন করাই শ্রেয় । প্যরাসাইটিক জাতিও রোগ থেকে বাঁচতে এই গুড় স্বাস্থ্য কর ভাবে তৈরি কি না জেনে নেয়া দরকার । খেজুরের রস সংগ্রহ থেকে এর গুড় বাজার যাত করন পর্যন্ত কতটা স্বাস্থ্য কর সে বিষয় সাবধানতা এবং সতর্কতা খুব জরুরি ।

khejurer gurer joto kotha-https://effortbd.com/

বাজারে আসল নকল খাঁটি ভেজাল সব মানের খেজুরের গুড় পাওয়া যায়। খেজুরের গুড় আমাদের নানা ভাবে কাজে লাগে। Effort & Insaf যৌথ উদ্যোগে BSTI অনুমোদিত নির্ভেজাল এবং খাঁটি গুড় শীতকালে বাজারজাত করে থাকে। বাজার থেকে কেনার আগে অবস্যই মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেখে কিনুন। নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ সুরক্ষায় Effort & Insaf এর পণ্য ব্যবহার করুন। পণ্যের গুনগত মান এর সুরক্ষায় Effort & Insaf বদ্ধ পরিকর।

স্থানীয় বাজার থেকে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম: বাংলাদেশের ইকমার্সের প্রস্তুতি

স্থানীয় বাজার থেকে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম: বাংলাদেশের ইকমার্সের প্রস্তুতি প্রাচীন থেকেই বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময়ী দেশ। বাংলাদেশ একটি বৃহত্তর বাজার, যেখানে বিশ্বের