খাদ্য হিসেবে জয়তুন ফল বা তেল

জয়তুন ফলের উপকারিতা, জয়তুন ফলের দাম,জয়তুন ফলের উপকারিতা,কোথায় পাবেন জয়তুন ফল-www.effortbd.com

পোস্ট শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্য হিসেবে জয়তুন ফল বা তেল/অলিভ অয়েলের উপকারিতা অনস্বীকার্য । অলিভ অয়েল খাদ্য হিসাবে সুপরিচিত। এথেকে বিশেষ তেল উৎপাদিত হয়। ওমেগা ৬ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ বিধায় এই তেল এত উপকারী। এতে স্বাস্থ্যকর মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে যার নাম এলিক অ্যাসিড। বিশেষজ্ঞরা সাদা তেলের বিকল্প হিসেবে অলিভ অয়েল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সুন্নাতি খাবার জয়তুন ফল

সুন্নতী খাবার জয়তুন (الزَّيْتُونِ)/ জয়তুনের তেল সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি জয়তুন বিষয়ে সরাসরি শপথ করে ইরশাদ মুবারক করেছেন- “শপথ ত্বীন এবং যয়তুনের।” (পবিত্র সূরা ত্বীন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “এটি ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারি, বার্ধক্যকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং পেটের জন্য তেমন শীতল যেমন আগুনের সামনে বরফ।”

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-“সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা জয়তুন খাও এবং জয়তুনের তেল গায়ে মাখো। কেননা এটি একটি মুবারক বৃক্ষ থেকে তৈরি।” (ইবনে মাজাহ শরীফ: কিতাবুত ত্ব‘য়ামাহ: হাদীছ শরীফ নং ৩৩১৯)
তিরমিযী শরীফ উনার মধ্যে হযরত আবূ সা‘য়ীদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে এই পবিত্র হাদীছ শরীফ খানা বর্ণিত রয়েছে।

খাদ্যাভ্যাসে olive oil / জয়তুন তেলের ব্যাবহার:

দৈনন্দিন আমাদের যেমন সয়াবিন বা এই জাতীয় রান্নার ভোজ্য তেল আমদের শরীরে নানা রোগের তৈরি করে । অন্য দিকে জয়তুন তেল যা আমাদের শরীরের উপকার করতে সাহায্য করে। তাই গবেষক গন দৈনন্দিন এক চামূচ হলেও জয়তুন তেল খাবারে রাখতে বলেন । ফেনল, স্টেরলস, ফ্যাটি অ্যাসিড, লাইনোলিক অ্যাসিড, প্যালমিটিক অ্যাসিড, অলেয়িক অ্যাসিড, ভিটামিন, মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও লক্ষণীয় মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্নও ভাবে সুস্বাস্থ্যের মাত্রা প্রকাশ করতে সাহায্য করে। সুতরাং এক টেবিল পরিমাণ তেল দৈনন্দিন খাবারে রাখা জরুরী ।

  • পেটের সমস্যায় সমাধান :

প্যানক্রিয়াটিক লাইপেজ নামক এনজাইমের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে খাদ্য পরিপাকজনিত সমস্যার হার কমিয়ে আনে জয়তুন তেল বা অলিভ ওয়েল । কোষ্ঠ কাঠিন্য ঘনঘন বদ হজম গ্যাসের সমস্যা কমিয়ে আন্তে অলিভ ওয়েলের জুরী নেই । সুতরাং নিয়মিত খাবারে অলিভ ওয়েল রাখা উচিৎ।

  • হার্ট ভালো রাখতে :

জয়তুন তেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে,যা ট্রেস কমায় এবং হার্ট অ্যাটাক কমায় । এতে রয়েছে MUFAs ফ্যাট যা উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়।সুতরাং অলিভ ওয়েল বাচাতে উপকারী উপাদান ।

  • ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে :

অলিভ ওয়লে ভিটামিন-ই রয়েছে যা কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়। ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া অলিভ অয়েলে থাকা স্কোয়ালেন এবং টেরপেনয়েড নামক দুটি যৌগ উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

  • ময়েশ্চারাইজার হিসাবে :

শীতে ত্বকের শুষ্কতা এড়াতে ,পা ফাটা , চুলের যত্নে খূশকী থেকে রক্ষা পেতে অলিভ ওয়ল মাসাজ খুবই উপকারী । প্রাকিতিক উপায়ে ভালো ময়েশ্চার,নরম সফট ত্বক পেতে আমরা অলিভ ওয়ল ব্যাবহার করতে পারি নিশ্চিনতে ।

  • বরকত ও প্রাচুর্যময় গাছের তেল:

হাদিস এবং সুণ্ণাহে রসূল (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা অলিভ অয়েল (জয়তুন তেল) খাও এবং তা শরীরে মালিশ করো। কেননা এটি বরকত ও প্রাচুর্যময় গাছের তেল। (তিরমিজি, হাদিস: ১৮৫১) বুঝতেই পারছেন, এই ফল কতটা বরকতময়।

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে:

শরীর ফিট রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে অলিভ ওয়ল খূব জনপ্রিয় । উচ্চও মাত্রার শর্করা যা চর্বী রূপে শরীরে থাকে সেগুলোর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরে অতিরিক্ত ইনসুলিন এবং উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে সেই সাথে বডির ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে অলিভ ওয়ল ।

  • তারুণ্য ধড়ে রাখতে:

অলিভ ওয়লে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি মানসিক রোগ এবং ডিপ্রেশনের মোকাবিলা করে। হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা এবং দেহের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে অলিভ অয়েল বেশ কার্যকর। সুতরাং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধড়ে রাখতে এবং বয়সের ছাপ এরাতে অলিভ ওয়ল বেষ কার্যকারী ।

  • গর্ভবতী মা:

গর্ভবতী মা সন্তান হওয়ার পর তাদের পেটের দাগ নিয়ে চিন্তায় পরে যান। একটা পরীক্ষিত ব্যাপার এবং প্রমাণিত যে, এই সাদা রঙের স্থায়ী দাগ গর্ভধারণ করার পর থেকেই পেটে জলপাই তেল (Olive Oil) মাখলে কোন জন্মদাগ পড়ে না।

জলপাইয়ের তেল/অলিভ অয়েল /জয়তুন তেলের ধরণ:

বাজারে কয়েক ধরনের জলপাইয়ের তেল পাওয়া যায়। যেমন:
১। Extra virgin – Extra virgin সরাসরি প্রথম ধাপে জলপাই ফল থেকে তৈরি করা হয়। এসিডের পরিমাণ % এর নিচে তাই রান্নার জন্য আর তেল বা সালাদে গবেষকরা জয়তুন যেকোনো ভাবে ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেন।
২। Virgin –Extra virgin পরের ধাপ এটা। এতে এসিডের পরিমাণ ১ থেকে ২% থাকে।
৩। Refine Pure – ৩য় ধাপে এসিডের পরিমাণ ৩% থেকে ৪%. এই ধাপে পিওর করা হয়।

বাজারে আসল নকল খাঁটি ভেজাল সব মানের তেল পাওয়া যায়. জয়তুন ফল তেল হিসাবে বা ফল যেভাবেই আমরা ব্যবহার করিনা কেন এর গুনাগুন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। Effort & Insaf যৌথ উদ্যোগে BSTI অনুমোদিত নির্ভেজাল এবং খাঁটি জয়তুন ফল এবং তেল বাজারজাত করে থাকে। বাজার থেকে কেনার আগে অবস্যই মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেখে কিনুন। নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ সুরক্ষায় Effort & Insaf এর পণ্য ব্যবহার করুন। পণ্যের গুনগত মান এর সুরক্ষায় Effort & Insaf বদ্ধ পরিকর।

স্থানীয় বাজার থেকে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম: বাংলাদেশের ইকমার্সের প্রস্তুতি

স্থানীয় বাজার থেকে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম: বাংলাদেশের ইকমার্সের প্রস্তুতি প্রাচীন থেকেই বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময়ী দেশ। বাংলাদেশ একটি বৃহত্তর বাজার, যেখানে বিশ্বের