বাজেট-বান্ধব উপায়ে কিটো ডায়েটের জয় করুন

কিটো ডায়েট | Bangladeshi online shop| +8801826300306-10

পোস্ট শেয়ার করুন

কেটোসিস প্রক্রিয়ায় শরীরে সঞ্চিত ফ্যাটকে পোড়াতে সাহায্য করে এই বিশেষ ডায়েট যা কীট ডায়েট নাম পরিচিত। কিটোজেনিক ডায়েট প্ল্যানটি /Ketogenic Diet Plan মেনে চললে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে এড়িয়ে চলতে হয়। পরিবর্তে বেশি করে খেতে হবে প্রোটিন এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার। প্রোটিন এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার শরীরের এনার্জির ঘাটতি মিটাতে সহায়ক।

• কিটোডায়েট কি?

কেটোজেনিক ডায়েট হল একটি খুব কম কার্ব, উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার।এর শাব্দিক অথ হলো কম-কার্ব ডায়েটের। আমরা জানি, প্রোটিনে ও ফ্যাট এ তুলনামূলক ভাবে কার্বোহাইড্রেট কম। শরীরে কার্বোহাইড্রেট তীব্রতা হ্রাস এই অবস্থাকে মেডিক্যাল এর ভাষায় কিট-সিস বলা হয়। শরীরে ক্যালোরি অভাব-এর কারণে লিভার আরের চারপাশে জমা চর্বি বিপাক ঘটায়। পরিশেষে, অবিশ্বাস্যভাবে দেহ মেদ কমায়
কেটোসিস একটি শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া। এটি মূলত উচ্চ চর্বিযুক্ত, কম কার্বোহাইড্রেট দ্রুত বার্ন করার মাধমে ঘটে। উপস্থিত চর্বি আসতে আসতে রক্তকে এসিড এর মাত্রা বাড়িয়ে তোলায়, যা কিটোন নামে পরিচিত। সুতরাং ,একজন ব্যক্তি কেটো ডায়েট অনুসরণ করে কার্বোহাইড্রেট নয় বরং চর্বির উপর নির্ভর করে অবাঞ্ছিত চর্বি পোড়ানো শরীরকে শক্তির জন্য।

• কিটো ডায়েট কিভাবে কাজ করে ??

মনে করেন, আপনার শরীর হলো একটি গাড়ি। গাড়িকে পরিচালনা করতে গ্লুকোজ লাগে। শরীর খাদকে গ্লুকোসে এ রূপান্তর করা। যখন কোনো ব্যাক্তি খাদ গ্রহণ করা না , শরীরে থাকা চর্বি গ্লুকোসে রূপে কাজ ]করে। এটা অনেকটা ব্যাকআপ জ্বালানীর মতো কাজ করে। কিটো ডায়েটএ , প্রোটিনে ও কার্বোহাইড্রেট খাদ কম খায়। অপযাপ্ত প্রোটিনে এর অভাবে ব্যাকআপ প্রোটিনে দহন করে গ্লুকোজ তৈরি করে। আপনি আক্ষরিকভাবে জ্বালানির জন্য চর্বি পোড়াচ্ছেন। গ্লুকোজ থেকে কিটোনে রূপান্তর হতে দিন বা সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথ,টিকিয়ে রাখাও সমানভাবে চ্যালেঞ্জিং।

• কিটো ডায়েট কাদের জন্য নয়

কিটো ডায়েট ওজন কমানোর এবং তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ডায়েট পদ্ধতি। এই ডায়েট নিউরোপ্রোটেক্টিভ প্রভাব থাকে আলঝেইমা আক্রান্ত রোগিদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নতটি করে। গবেষকদের মতে, কেটোজেনিক, বা কেটো কমপ্লেক্স স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। যা খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। এতে হৃদরোগের বা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝোঁক বাড়ে। এই কারণে, কেটো ডায়েট সবার জন্য উপযুক্ত নয়।

• কিটো ডায়েট চার্ট

কিটো ডায়েট-এ আপনাকে পরিকল্পনার ডায়েট চার্ট অনুসরণ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, কোনো কাজ শুরু অপেক্ষা তা পরিচালনা করা কঠিন। এই সংকল্প মাথায় রেখে চার্ট বহাল রাখা। এতে, ফল পাওয়া সম্ভব।

কার্বোহাইড্রেটের জায়গায় ফ্যাটগুলি নিশ্চয়ণ এবং মোট ক্যালরি প্রায় 60-80% চবি সরবরাহ করবে হবে।ননস্টার্চ জাতীয় খাদ্য যেমন মাংস, চর্বি এবং তেল খুবই সীমিত পরিসরে খেতে হবে। এটি লো-কার্বন ডায়েট এ কার্বোহাইড্রেট অনুমোদন নাই যা হতে কেটো ডায়েট হতে ভিন্ন করা তুলে ।

কিটো ডায়েট বাকি ক্যালোরি আসে প্রোটিন হতে। আর পরিমাণ 5-10% সম্পূৰ্ণ ডায়েট-এ। প্রতিটি মানুষের শারীরিক গঠন ভিত্তিতে প্রোটিন-এর চাহিদা ভিন্ন। ধারণা করা হয় , প্রতি কেজি দেহের ওজন-এর জন্য এক গ্রাম প্রোটিন লাগবে। যেমন ১৪০-পাউন্ড মহিলার মোট প্রোটিনের প্রায় ৬৪ গ্রাম প্রয়োজন হবে। ‘

সংক্ষেপে, কার্বোহাইড্রেট খুব কম, চর্বি বেশি এবং প্রোটিন মাঝারি কেটো ডায়েটে নিয়ম।

• কিটো খাবারের পরিকল্পনা

  • ব্রেকফাস্ট এ ভাজা ডিম ২টি ,টুকরো করা টমেটো , কফি অথবা চা।
  • স্ন্যাক-এ চোকলাসহ পাইন বাদাম
  • মধ্যাহ্নভোজ-এ পনির, সালাদ, চীস , অ্যাভোকাডো,
  • নাস্তাআয় ভুট্টা , সল্ট বাদাম
  • ডিনার-এ মাখন দিয়ে ভাজা ব্রোকলির, অল্প মাছ / মাংস

কিটো ডায়েট কিভাবে বজায় রাখা যায় ??

  • উচ্চ পরিমাণএ চবিযুক্ত খাবার খাওয়া
  • ডায়েট মেইনটেইন করতে হলে প্রতিনিয়ত রক্তে কেটোসিস থাকা আবশ্যক। তাই প্রতিদিন 80 – 90% চর্বিযুক্ত খাবার রাখতে হয়।
  • প্রোটিন গ্রহণের উপর নজর রাখা।
  • প্রোটিন মাত্রা বেড়ে গেলে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হতে পারে, যা কেটোসিস প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়।কিটো ডায়েটে যে পরিমাণ প্রোটিন খায় তা সীমিত করতে হয় ।
  • কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ পর্যবেক্ষণ কেটোসিস বজায় রাখার জন্য, প্রতিদিন কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ২৫-৫০ গ্রাম রাখতে হবে। এটিকে পরিপ্রেক্ষিতে, একটি আপেলে থাকে প্রায় 25 গ্রাম কার্বোহাইড্রেট।
  • কিটোসিসে মাত্রা পরীক্ষা
  • কিটো ডায়েট কিটোসিস পরীক্ষা জরুরি। এতে শরীরে কেটোনের মাত্রা পরিমাপ করতে পারেন। রক্ত, প্রস্রাব বা শ্বাস পরীক্ষার মাধ্যমে এটি করা যায়

কিটো ডায়েট উপকারিতা:

ওজন হ্রাস এবং রক্ষণাবেক্ষণ:

কিটো ডায়েট আর প্রধান সুবিধা হলো এতে দ্রুত ওজন কমানো যায়। কম কার্ব যুক্ত ডায়েট শরীরে অতিরক্ত পানি নিসারণ করে। এতে রক্ত-এ ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। ফলশ্রুতিতে , ওজন 2-3 গুণ বেশি ওজন হ্রাস করতে পারে।কেটোজেনিক ডায়েট একটি প্রচলিত ওজন কমানোর ডায়েটের তুলনায় ছয় মাস পর্যন্ত বিশেষভাবে কার্যকর থাকে। ৬০৯জন-এর ও বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের একটি বছরব্যাপী গবেষণা মতে ,একজন স্থূল ব্যক্তি গড়ে ১৫-১৭ কেজি কমাতে সক্ষম। আরো দেখা যায় , তারা সক্রিয়ভাবে ক্যালোরি সীমাবদ্ধ করতে পারে।

কোলেস্টেরল মাত্রা কমায়

মানব দেহে কোলেস্টরোল তারতম্য থাকা উচিত। সুস্থ জীবনযাপন এর জন্য এইচডিএলের (উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন) অনুপাত বেশি হতে হবে। সামগ্রিকভাবে, শরীরে কোলেস্টরোল মাত্রা কেটোজেনিক ডায়েট মাধ্যমে উন্নতি ঘটায়।গবেষণা অধ্যয়নগুলি দেখায় যে, এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় , যা স্বাস্থ্যকর।

পেটের চর্বি হ্রাস করে

কেটোজেনিক ডায়েট এই ক্ষতিকর পেটের চর্বি কমাতে খুবই কার্যকর। প্রকৃতপক্ষে, চর্বি একটি বৃহত্তর অনুপাত পেটের গহ্বর থেকে আসে।শরীরের সব চর্বি এক নয়। মানব দেহ-এ প্রধানত দুই প্রকার-এর চর্বি লক্ষ করা যায়। ১.সাবকুটেনিয়াস ফ্যাট, যা ত্বকের নীচে জমা হয় এবং ২.ভিসারাল ফ্যাট, যা আপনার পেটের গহ্বরে থাকে এবং বেশিরভাগ অতিরিক্ত ওজনের পুরুষদের জন্য এটি সাধারণ।ভিসারাল ফ্যাট অঙ্গের চারপাশে জমা থাকে । এই অতিরিক্ত চর্বি প্রদাহ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের সাথে যুক্ত।

রক্তচাপ কমায়

অনুমান করা হয় যে বিশ্বে ৯০ মিলিয়ন মানুষ-এর উচ্চ রক্তচাপ আছে। এটি জটিল রোগের প্রাইমারি সিনড্রোম হিসাব-এ ধরা হয়। হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি ফেলসহ নানান রোগের ঝুঁকির কারণ।কিট ডায়েট রক্তচাপ কমানোর একটি কার্যকর উপায়। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখায় ,এ ডায়েট বেশি ওজনের ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তচাপের মাত্রা কমাতে পারে।এবং আপনাকে দীর্ঘজীবী করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস বান্ধব

কেটোজেনিক ডায়েটগুলি ডায়াবেটিস এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের বিশেষভাবে সহায়ক। বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করেছে। গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে যে ,কম কার্ব ডায়েট ডায়াবেটিক ইনসুলিনের ডোজ সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৫০% কমায়। তাছাড়া ,৯৫% ডায়াবেটিস টাইপ ২ আক্রান্ত ব্যক্তিদের ছয় মাসের মধ্যে ওষুধ কমিয়েছে বা বাদ দিয়েছে।তাই কেউ যদি ব্লাড সুগারের ওষুধ খান, তাদের কার্বোহাইড্রেট গ্রহণে আগে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। কারণ হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধ করার জন্য আপনার ডোজ সামঞ্জস্য করতে হতে পারে।

কিটো ডায়েট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে কিটো ডায়েট-এ ভয়-এর দিক হলো অস্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় উচ্চ গ্রহণ দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।কেটো ডায়েট কিছু ফল, শাকসবজি, শস্য এবং লেবুতেও অত্যন্ত কম যা সাধারণত স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়.এতে দেহে নির্দিষ্ট ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইটোকেমিক্যাল-এর স্বল্পতা দেখা দেয়। যা পরবতীতে দীঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে। উদাহরণ স্বরূপ হাড়ের ক্ষয় এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কেটোজেনিক ডায়েটের প্রচুর স্বাস্থ্য সুবিধার দিয়ে থাকে। আপনি যদি ক্ষুধা,ওজন কিংবা ট্রাইগ্লিসারাইড আগ্রহী হন তবে এই ডায়েটগুলির মধ্যে একটি বিবেচনা করার মতো হতে পারে। কিটো ডায়েটে থাকা লোকেরা প্রায়ই “দুগ্ধ, ডিম এবং লাল মাংসের মতো খাবারের উপর বেশি জোর দেয়। কিটো তুলনায় অন্যান্য ডায়েটের টেকসই ও ওজন কমানোর সম্ভাবনা বেশি নয়।

চর্বি হ্রাসের পরিবর্তে পেশী হ্রাস। তাই স্বাস্থসম্মত ডায়েট-এ হলেও কিছু রিক রয়েছে। নিরাপদে থাকার জন্য, কিন্তু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করার আগে কিটো ডায়েট আপনার জন্য ঠিক কিনা তা ডাক্তারের কিংবা ডায়েটিশিয়ান সাথে আলোচনা করতে ভুলবেন না।

Effort & Insaf যৌথ উদ্যোগে BSTI অনুমোদিত নির্ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বাজারজাত করে থাকে। বাজার থেকে কেনার আগে অবস্যই মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেখে কিনুন। নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ সুরক্ষায় Effort & Insaf এর পণ্য ব্যবহার করুন। পণ্যের গুনগত মান এর সুরক্ষায় Effort & Insaf বদ্ধ পরিকর।

স্থানীয় বাজার থেকে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম: বাংলাদেশের ইকমার্সের প্রস্তুতি

স্থানীয় বাজার থেকে গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম: বাংলাদেশের ইকমার্সের প্রস্তুতি প্রাচীন থেকেই বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময়ী দেশ। বাংলাদেশ একটি বৃহত্তর বাজার, যেখানে বিশ্বের