মশলা হলো সেই সমষ্টি পদার্থের সমন্বয়, যা খাবারের স্বাদ, গন্ধ, রং, জ্বালানি এবং স্বাস্থ্যকর উপকারের জন্য ব্যবহার করা হয়। মশলা সাধারণভাবে খাবারে প্রয়োজনীয় প্রকারের স্বাদ, আরোমা এবং গন্ধ যোগ দেয়।

মশলা বিভিন্ন রূপে পাওয়া যেতে পারে। যেমন গুঁড়া মশলা। সাধারণভাবে মশলার মধ্যে মসলা, লবণ, হলুদ, জিরা, ধনিয়া, মরিচ, আদা, লবঙ্গ, দারচিনি, ইলাচি, নারকেল, ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। বিভিন্ন মশলা বিভিন্ন খাবারের স্বাদ এবং বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে ব্যবহার হয় এবং এগুলি খাবারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মশলা।

মসলা মূলত তিন প্রকারে বিভক্ত।

Whole Spice: এই প্রকারের মসলা সম্পূর্ণ গোটা অবশিষ্ট অথবা উপাদানের সহিত ব্যবহার হয়, যেমন সাবুদানা (কালো মরিচ), দারচিনি ট্বিগ, এলাচি, বড় ইলাচি, লবঙ্গ, মসুরদালের ধনিয়া, জিরা, আদা, আদি। গুণমসলার সামান্য এক অংশই বেশি প্রোডাক্টে ব্যবহার হয় এবং তাদের স্বাদ ও আরোমা বেশি প্রকাশিত হয়।

Ground Spice: এই প্রকারের মসলা মূল অবশিষ্ট গুণমসলা বা উপাদানের ঘষিত রূপ। যেমন মসলা পাউডার, হলুদ পাউডার, ধনিয়া পাউডার, লবণ পাউডার, সাবুদানা পাউডার, আদি। এই প্রকারের মসলার পরিমাণ বেশি হয় এবং তাদের ব্যবহার সহজ হয় কারণ তারা ভালোভাবে ঘষিত হয়ে থাকে।

Blend Spice: এই প্রকারের মসলা বিভিন্ন প্রকারের গুণমসলা বা বুটমসলা মিশ্রণ হয়ে তৈরি হয়, যার ফলে বিশেষ স্বাদ ও আরোমা প্রাপ্ত হয়। উদাহরণস্বরূপ, গারাম মসলা, পাঁচফোরন, চাটমসলা, মধু মসলা, আদি।

এই তিনটি প্রকারের মসলা বানান খাবারের স্বাদ, গন্ধ, রং ও আরোমা পরিবর্তন করে এবং বিভিন্ন ভোজনের প্রকার প্রদান করে।

মশলা ব্যবহারের কিছু উদাহরণ:

স্বাদ যোগান: মশলা খাবারে স্বাদ যোগ করে। প্রায় সব খাবারে মশলা ব্যবহার করা হয়, যাতে খাবারটির স্বাদ বেশি মজাদার ও আকর্ষণীয় হয়।

আরোগ্যকর উপাদান: কিছু মশলা আরোগ্যকর উপাদান সরবরাহ করতে সাহায্য করে, যেমন হলুদ (কুরকুমিন) যা এন্টিইনফ্ল্যামেটরি এবং অক্সিডেন্টাল স্থিতিতে সাহায্য করতে পারে।

বস্তুতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য: মশলা বিভিন্ন প্রকারের খাবারের বস্তুতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গরম মশলা যেমন লাল মরিচ আর ধনিয়া খাবারের স্বাদ বেশি তিক্ত করতে পারে এবং ঠাণ্ডা মশলা যেমন কালো মরিচ প্রায় স্বাদ নিশ্চিত করতে পারে।

রঙ যোগান: মশলা খাবারে রঙ যোগ করে, যা খাবারটিকে আরো আকর্ষণীয় করে এবং আপনার খাবারের প্রদর্শন সুন্দর করে।

সজীবতা বৃদ্ধি: কিছু মশলা খাবারে সজীবতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে, যেমন গুঁড়া মশলা এবং মৌসুমী মশলা।

মশলা ব্যবহার করার মাধ্যমে খাবারে স্বাদ, আরোগ্যকর উপাদান এবং বস্তুতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়, যা খাবারটিকে আরো আকর্ষণীয় এবং স্বাস্থ্যকর করে।